জাস্ট ফ্রেন্ড এর নামে অশ্লীলতা


 বর্তমানের ছেলে-মেয়েদের ফ্রেন্ড কালচারটা এমন..

একটা ছেলে একটা মেয়ের সাথে হাটছে, একজনের অপরজনের কান মলে দিচ্ছে কিংবা মাথায় চিমটি কেটে দিচ্ছে । ভালো।

কিন্তু কখনও কখনও বা, ‘দোস্ত তুই যা দুষ্টু রে...❗’ বলে পিঠে থাবা দিচ্ছে।

মোট কথা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ নামে ‘হাতাহাতি’ প্রথা চলছে।


আজ ক্লাসমেটের নাম করে ছেলে মেয়েরা একে অপরের গায়ে হাত দিচ্ছে, বিভিন্ন ভাবে টাচ করছে। এর নাম প্রগতীশীলতা।

এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আপনি হবেন রুচীহীন, হীন মন্য, ক্ষ্যাত, সেকেলে, ঋনাত্মকমনা।

আবার অনেক মেয়ে তার ছেলে বন্ধু কে দিয়ে নিজের ফটো তুলাবার সময় কখনও ওড়না এভাবে নেয় তো কখনও ওভাবে নেয়, কখনও বা নেয়ই না।

কখনও বা শুয়ে, কখনও বসে গড়াগড়ি দিয়ে কত রকম পোজ দিচ্ছে❗

একটুও বিবেক কাজ করেনা।


আর অন্যদিকে ছেলে ফ্রেন্ডটাও লেন্স হাতে ফোকাসের নামে কি ফোকাস বা জুম করছে আল্লাহ তা'আলা জানেন আর সে নিজে। আমরা আন্দাজ করতে পারি।

অনেকে আমার কথায় রাগ করবে। অনেকে এমনও বলেছে,

“ভাইয়া, হাত ধরা কি খারাপ কাজ❓

আমরা তো ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ হিসেবেই হাত ধরি”

এই ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ কালচার শুরুর উদ্দেশ্যই তো একটা-

হাতাহাতির ‘বৈধতা’।

অর্থাৎ একটা মেয়ের গায়ে ইচ্ছা হলেই আপনি হাত দিতে পারবেন না। জাস্ট ফ্রেন্ড হলে সুবিধে টা দেখেন, আপনি কিন্তু আপনার ক্লাসের প্রায় সব মেয়ের গায়ে যখন তখন বিভিন্ন উছিলায় হাত দিতে পারবেন।

বয়ফ্রেন্ড হবার থেকে তাই জাস্ট ফ্রেন্ড হওয়া বেশি লাভের এক দিক দিয়ে। হাতাহাতি সুনির্দিষ্ট একজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। সবার সাথেই হলো।

একটা পৈশাচিক আনন্দ❗

(ব্যাপারটা আপনাদের দ্বারাই প্রমানিত)


ধরুন ক্লাসের একটি মেয়ের গায়ে আপনি হাত দিতে চাচ্ছেন, মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দরী, নিজের করে পেতে ইচ্ছে করছেন, স্বপ্নে কুবাসনা আঁকছেন কিন্তু তার সাথে আপনি প্রেম করতে পারছেন না।

এখন একটাই উপায় - ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’

জাস্টফ্রেন্ড হবার উছিলায় তার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন। ব্যস, হাত ছোয়াছোয়ি হয়ে গেল।

তার হাতের ঘড়ি দেখার উছিলায় হাত ধরে বলবেন

“তোর ঘড়িটা তো অনেক সুন্দর❗”

এরপরে মেয়েটির হাত ধরেই পাঁচ মিনিট ধরে সেই ঘড়ি নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন। কেউ বাঁধা দিবে না, মেয়েটিও না, মেয়েটিও তো মজা পাচ্ছে। সে বাঁধা দিবে কেন❓


কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তোমাদের মাঝে কি চলছে ⁉ সাথে সাথে অকপট জবাব, ‘আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড’

আমাদের মধ্যে ওসব নোংরা কোন ফিলিংস কাজ করে না।

তাহলে প্রশ্ন উঠে,

আচ্ছা ভাই/আপু আপনি কি নপুংসক❗

ফিলিংস কাজ করে না, মানে কি❓


ইসলাম ধর্মে কি বলে একটু শুনি:

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে।” {সূরা : আন্-নূর | আয়াত : ৩০-৩১}




মনোবিজ্ঞান বা মেডিক্যালীয় থিওরী যেভাবেই যুক্তিতে যান, প্রমাণিত হবে,

[০১] আপনি একজন ডাহা মিথ্যাবাদী না হয়,

[০২] একজন খাঁটি নপুংসক ।

যেকোন একটা অপশন আপনাকে বেছে নিতে ই হবে।

উত্তর [১] হলে: এইসব *চ্চামি ছাড়ুন, আপনারও বোন আছে এভাবেই কেউ জাস্ট ফ্রেন্ড উছিলায় হাতাহাতি করবে, বোন না থাকলে ভবিষ্যতে মেয়ে আছে। পাপ কিন্তু ফিরে আসে কোন না কোন ভাবে।

আল্লাহকে ভয় করুন৷ বিবেক প্রয়োগ করুন।


আর উত্তর [২] হলে: চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হউন। হারবাল চিকিৎসাও নিতে পারেন। প্রায় পোস্টারিং দেখি। আপনাদের জন্যই বেস্ট হবে ফাইল গুলো।


আফসোসটা একটু বেশি হয় তখন যে, ছেলেরা (আংশিক পরিমাণ) তো মজা নিতেই চাইবে (প্রকৃতগত ভাবে), (অধিকাংশ) মেয়েরাও মজা দিতে পছন্দ করে (ইচ্ছাকৃত ভাবে)।


অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে, প্রেমের মত সুন্দর সম্পর্ক আজ যেমন অশ্লীলতায় ভরপুর, তেমনি বন্ধুত্বের মত পবিত্র সম্পর্কটাকেও অশ্লীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছি।


সবার কাছে একটাই রিকোয়েস্ট, সুন্দর ফ্রেন্ডশীপকে জাস্টফ্রেন্ড এর মুখোশ পরিয়ে অশ্লীলতার দিকে নিয়ে যাবেন না।

প্লিজ 🙏🙏

Comments

Post a Comment

Popular Posts